বৈদ্যুতিক শক্তির ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবস্থা (Transmission and distribution systems of electrical power) -
উৎপাদন কেন্দ্র হতে গ্রাহক পর্যায় পর্যন্ত বিদ্যুৎ পৌঁছাতে পরিবাহী তারের এক বিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে ওঠে। এ নেটওয়ার্ককে বলা হয় ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম। উৎপাদন কেন্দ্র হতে লোড সেন্টারসমূহে বিদ্যুৎ পরিবহনের জন্য ট্রান্সমিশন লাইন ও সিস্টেম এবং উপকেন্দ্র হতে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ বিতরণের জন্য ডিস্ট্রিবিউশন লাইন ও সিস্টেম। বৈদ্যুতিক পাওয়ার ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন এসি বা ডিসি যে-কোনো পদ্ধতিতেই হতে পারে। এসি ব্যবস্থায় ট্রান্সমিশন তিন ফেজ তিন তার এবং ডিস্ট্রিবিউশনের ক্ষেত্রে তিন ফেজ চার তার ব্যবস্থা সচরাচর ব্যবহৃত হয়।ফেজ তিন তার এবং ডিস্ট্রিবিউশনের ক্ষেত্রে তিন ফেজ চার তার ব্যবস্থা সচরাচর ব্যবহৃত হয়।
একটি আধুনিক এসি পাওয়ার সিস্টেমের উপাদানসমূহ সাধারণত নিম্নরূপ হয়ে থাকে :
১। উৎপাদন কেন্দ্র ( Generating station )
২।স্টেপ আপ উপকেন্দ্র (Step-up substation)
৩। ট্রান্সমিশন লাইন (Transmission line)
৪। সুইচিং স্টেশন (Switching station)
৫।স্টেপ ডাউন উপকেন্দ্র(Step-down substation)
৬। প্রাইমারি ডিস্ট্রিবিউশন লাইন [উচ্চ ভোল্টেজ] (Primary distribution line)
৭।সার্ভিস ট্রান্সফর্মার বা বিতরণ ট্রান্সফর্মার (Service transformer bank or Distribution transformer)
৮। সেকেন্ডারি ডিস্ট্রিবিউশন লাইন [নিম্নচাপ ] (Secondary distribution line)।
বৈদ্যুতিক সিস্টেমের সিঙ্গেল লাইন ডায়াগ্রাম(Single line diagram of electrical system) :
সকল ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমে সবগুলো উপাদান থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে। তবুও একটা বৈদ্যুতিক সিস্টেমে যে-সকল উপাদান সাধরণত থাকে, নিম্নের চিত্রে তার সন্নিবেশ দেখানো হলো :
ট্রান্সমিশন লাইন : বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র হতে উচ্চ পাওয়ার পরিবহনের জন্য উচ্চ ভোল্টেজের বিশাল সার্কিট বা নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়, সেটি ট্রান্সমিশন লাইন। অধিক পাওয়ার পরিবহনের জন্য ট্রান্সমিশন লাইন সিঙ্গেল সার্কিট, ডবল সার্কিট, ট্রিপল সার্কিট হয়ে থাকে।
অপারেটিং ভোল্টেজের ভিত্তিতে ট্রান্সমিশন লাইন দু'ভাবে বিভক্ত হয়, যথা-
(ক) প্রাইমারি ট্রান্সমিশন : 230KV, 132kV
(খ) সেকেন্ডারি ট্রান্সমিশন : 66kV, 33kV.
ডিস্ট্রিবিউশন লাইন : গ্রাহক পর্যায়ে অর্থাৎ দোকানপাট, বাড়িঘর, শিল্পকারখানা প্রভৃতি স্থানে বৈদ্যুতিক পাওয়ার পৌছে দেয়া বা বিতরণের জন্য যে সার্কিট বা নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়, সেটি বিতরণ লাইন বা ডিস্ট্রিবিউশন লাইন। এতে অনেক শাখা থাকে এবং অসংখ্য ট্যাপিং এর মাধ্যমে সার্ভিস সংযুক্ত থাকে।
ভোল্টেজের ভিত্তিতে ডিস্ট্রিবিউশন লাইন দু' ধরনের, যথা-
(ক) প্রাইমারি ডিস্ট্রিবিউশন : 11KV, 6.6kV, 3.3kV (11KV বহুল ব্যবহৃত)
(খ) সেকেন্ডারি ডিস্ট্রিবিউশন : 400V, 230V.
No comments:
Post a Comment